দুর্গাপুর,২৩শে নভেঃ : আগামী ২৭শে নভেঃ দুর্গাপুরে পৌঁছাবে
ভারতের গনতান্ত্রিক যুব ফেডারেশনের পঃবঙ্গ রাজ্য কমিটির উদ্যোগে রাজ্য ব্যাপি চলা ঐতিহাসিক
ইনসাফ যাত্রা।আজ সন্ধ্যায়,ইস্পাতনগরীর বি-জোনে ভারতী মোড়ে এই উপলক্ষে ভারতের কমিউনিস্ট
পার্টি( মার্কসবাদী)-র দুর্গাপুর ইস্পাত ১ এরিয়া কমিটির পক্ষে আয়োজিত এক প্রচার সভায়
বক্তব্য রাখেন যুব নেতা হেমন্ত প্রভাকর,সন্দীপ পাল ও প্রকাশতরু চক্রবর্তী । কেন্দ্রিয় ও রাজ্য সরকারের নীতির ফলে গোটা দুর্গাপুর জুড়ে চলছে শিল্পের মড়ক চলছে । বর্তমানে নতুন কোন শিল্প আসে নি । কর্মসংস্হানের কোন সুযোগ না থাকার ফলে শিল্পনগরীর ছেলে-মেয়েরা ভিন রাজ্যে বা বিদেশে কাজের আশায় চলে যেতে বাধ্য হচ্ছে ।আজ দুর্গাপুর ‘দুর্দশাপুর’-এ পরিনত হতে চলেছে।বিশ্বায়নের হাত ধরে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের নীতিগত অবস্হানের ফলে বন্ধ হয়ে গেছে এম.এ.এম.সি/এইচ.এফ.সি/ বি.ও.জি.এল/রিফ্যাকট্রি সহ ৬টি রাষ্ট্রায়ত্ব এবং ২৪টি বেসরকারি কারখানা । সেই সাথে বন্ধ হয়েছে বিভিন্ন অনুসারী শিল্পের কারখানা ,পরিষেবা সংস্হা ও কয়লা খনি। ফলে কর্মচ্যূত হয়েছেন প্রায় আড়াই লক্ষের বেশী শ্রমিক । এম.এ.এম.সি কারখানার পুনরুজ্জীবনের ক্ষেত্রে বামফ্রন্ট সরকারের উদ্যোগে ২০০৭ সালে হাইকোর্টের মাধ্যমে ১০০ কোটি টাকায় একটি কনসোর্টিয়াম ( কোল ইন্ডিয়া,ডিভিসি,ভারত আর্থ মুভার্স কে নিয়ে তৈরি ) ক্রয় করা সত্বেও ,আজ পর্যন্ত সেই কারখানা খোলার কোন উদ্যোগ বর্তমান রাজ্য সরকার দেখায় নি । ২০০২ সালে বন্ধ হয়ে গেছে ভারত অপথ্যালমিক (বি.ও.জি.এল ) । এই কারখানার কর্মচ্যূত শ্রমিক-কর্মচারিরা আজও তাদের প্রাপ্য পি.এফ.-গ্র্যাচ্যুইটির টাকা পান নি । রাজ্য সরকার নির্লিপ্ত । কেন্দ্রিয় সরকার ৬টি বন্ধ রাষ্ট্রায়ত্ব সার কারখানার খোলার উদ্যোগ নিলেও সেই তালিকায় নেই দুর্গাপুরের ফার্টিলাইজার কারখানা (এইচ.এফ.সি )। এইচ.এফ.সি খোলার দাবিতে সি.পি.আই.(এম) এবং সি.আই.টি.ইউ এর পক্ষ থেকে কেন্দ্রিয় সরকারের কাছে বার বার দাবি জানালেও, উভয় সরকারই নিরব থাকে ! ভ্যালুয়েশন অনুসারে কারখানাটির মূল্য ২০১২ সালের ছিল ৭০৬.২৭ কোটি টাকা।অথচ মাত্র ৭০ কোটি টাকায় এইচ.এফ.সি বিক্রি করে দেওয়া হয়।দুর্গাপুর কেমিক্যালসের ১০০% বিলগ্নিকরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার । দুর্গাপুর প্রোজেক্টস লিমিটেড ( ডি.পি.এল ) এর কোক ওভেন প্ল্যান্টের উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছে রাজ্য সরকার।কেন্দ্রিয় সরকারে অধীনস্ত ডিটিপিএস এর নতুন পাওয়ার প্ল্যান্ট তৈরি না হলে ডিটিপিএস এর ভবিষ্যৎ নিয়েও অনিশ্চয়তা দেখা দেবে । দুর্গাপুর ব্যারেজ শিল্পনগরীর একমাত্র জলের উৎস । জন্মলগ্ন থেকে ব্যারেজের ড্রেজিং অবহেলিত । ফলে ব্যারেজের নাব্যতা ক্রমাগত কমে যাওয়ায় শিল্প সহ পানীয় জলের সরবরাহের সংকটের আশংকা বাড়ছে । অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্টে ও দুর্গাপুর
ইস্পাত কারখানার আধুনিকিকরন-সম্প্রসারনের দাবিতে দীর্ঘ লড়াই চলছে।বক্তারা তাই দুর্গাপুরের
প্রতি রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারে এই ধারাবাহিক বঞ্চনার বিরুদ্ধে ইনসাফ চাইতে ডিওয়াইএফআই
এর ঐতিহাসিক ইনসাফ যাত্রা ও জনতার ব্রিগেড সফল করার আহ্বান জানান।
No comments:
Post a Comment