দুর্গাপুর,২৪শে নভেঃ : দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার ৭ টি ইউনিয়ন, সিআইটিইউ-আইএনটিটিইউসি-আইএনটিইউসি-এআইটিইউসি-এইচএমএস-বিএমএস-এআইইউটিইউসি
এর যৌথ আহ্বানে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন শুরু হয় আরএফআইডি-বায়োমেট্রিক হাজিরা নিয়ে দুর্গাপুর
ইস্পাত কারখানা কর্তৃপক্ষের সার্কুলার বাতিলের দাবি নিয়ে। পরে যুক্ত হয় অবিলম্বে নায্য
বার্ষিক বোনাস( যা গতবারের প্রাপ্ত বোনাসের থেকে কম হবে না),পুর্নাঙ্গ বেতন-চুক্তি,৩৯
মাসের এরিয়ার,বেতন-চু্ক্তিতে ঠিকা শ্রমিকদের অন্তর্ভুক্তি, এবং দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা
ও অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্টের আধুনিকীকরন-সম্প্রসারনের কাজ অবিলম্বে শুরু সহ অন্যান্য
বকেয়া দাবি।এরপরে,
সেইল-আরআইএনএল এর কর্তৃপক্ষ,কোন
রকম দ্বিপাক্ষিক চুক্তি ছাড়াই সম্পূর্ন একতরফা
ভাবে শ্রমিক-কর্মচারীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে
গতবারের তুলনায় প্রায় অর্ধেক বার্ষিক বোনাসের টাকা ঢুকিয়ে দেয় সেইল-আরআইএনএল কর্তৃপক্ষ।
গতবারে বার্ষিক বোনাসের পরিমান ৪০,৫০০ টাকা থেকে কমে এবারে হয়েছে মাত্র ২৩,০০০ টাকা।অথচ
সেইলের ৫৬ বছরের ইতিহাসে এই সময়ে ভারতের “ মহারত্ন “ সেইলের সর্বোচ্চ উৎপাদন- উৎপাদনশীলতা অর্জন করেছে।
সেইল বার্ষিক ১ লক্ষ কোটি টাকার ওপরে লেনদেন করে ভারতের এই রকম মুষ্টিমেয় কিছু কোম্পানীর “এলিট গ্রুপে “ জায়গা করে নিয়েছে ।
এই অবস্থায়, দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানায়
৭ টি ইউনিয়ন, এর যৌথ আহ্বানে গত তিন মাস ধরে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানায় লাগাতার ঐক্যবদ্ধ
শ্রমিক আন্দোলন চলছে।আজ সকালে,
যৌথ মঞ্চের পক্ষ থেকে দুর্গাপুর
ইস্পাত কারখানার ইডি(ওয়ার্কর্স) এর দফতরে বিশাল বিক্ষোভ সমাবেশ হয়। সমাবেশে যৌথ মঞ্চের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন বিশ্বরূপ ব্যানার্জি,সীমান্ত
চ্যাটার্জি,তাপস সর,পরেশ কর্মকার,অরুপ রায়,শম্ভূ প্রামানিক,সুকান্ত রক্ষিত,সব্যসাচী
গোস্বামী ও সৌমজিত বরুয়া।বক্তারা পরিস্কার জানিয়েছেন যে সব দাবি না মেটা পর্যন্ত আন্দোলন
চলবেই। সমাবেশে চলাকালীন যৌথ মঞ্চের এক প্রতিনিধি দল কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি-সম্বলিত
স্মারক লিপি জমা দেন ।
No comments:
Post a Comment