Saturday, 29 November 2014

এনএসপিসিএল এমপ্লয়িজ ওয়েলফেয়ার এ্যাসোসিয়শন এর বার্ষিক নির্বাচনে সিআইটিইউ বিপুল জয় পেল ।

                                                            

দুর্গাপুর , ২৯শে নভেঃ : আজ , দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার বিদ্যুৎ সরবরাহক সংস্হা এনএসপিসিএল ইউনিট এর এমপ্লয়িজ ওয়েলফেয়ার এ্যাসোসিয়শন এর বার্ষিক নির্বাচনে এনএসপিসিএল এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন ( সিআইটিইউ ) আটটি আসনের মধ্যে ৬টি তে জয়ী হয়ছে । দুটিতে জয়ী হয়ছে তৃণমূলের ট্রেড ইউনিয়নের প্রার্থীরা । সাধারন সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়ছেন এনএসপিসিএল এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন ( সিআইটিইউ ) এর কমঃ দিলীপ চক্রবর্তী । প্রসংগত , এই এনএসপিসিএল এর ইউনিয়ন স্বীকৃতি নির্বাচনে , তৃণমূলীদের ভয়ংকর আক্রমনের সামনে দাঁড়িয়ে এনএসপিসিএল এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন ( সিআইটিইউ ) নির্বাচনের দিনে নির্বাচন থেকে সরতে বাধ্য হয়েছিল । আজকের নির্বাচনের ফলাফল আবার প্রমান করেছে যে সিআইটিইউ এর প্রতি শিল্পাঞ্চলের আস্হা অটুট আছে । এনএসপিসিএল এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন ( সিআইটিইউ ) এর পক্ষ থেকে ইউনিয়নের সভাপতি কমঃ সুখময় বোস ভোটারদের অভিনন্দন জানিয়েছেন । 

Wednesday, 26 November 2014

গ্রাম বাংলায় কৃষিকাজে ধর্মঘট ও চটকল ধর্মঘটের সমর্থনে ইস্পাতনগরী সংহতি জানাল ।

                                                     

দুর্গাপুর , ২৬শে নভেঃ : আজ ,কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের ও রাজ্যের তৃণমূলের জোড়া আক্রমনে বিপন্ন কৃষক-ক্ষেতমজুর-বর্গাদার , বিপন্ন শ্রমিক । মোদী সরকারের ,’ সুদিন ‘ এর বর্শাফলকে বিদ্ধ গ্রামের  ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প । গ্রামের মানুষের ,’জীবনরেখা ‘ রেগা-প্রকল্প বিজেপি -র  পরিকল্পিত চক্রান্তের শিকার হয়ে উঠে যাওয়ার মুখে । বিজেপি সরকারের দোসর রাজ্যের তৃণমূল সরকার । বিজেপি -র পরিকল্পিত চক্রান্তে  রেগা-প্রকল্প বিপন্ন হলেও তৃণমূলের মুখে রা নেই ! উল্টে তৃণমূল সরকার  ধান সহ বিভিন্ন ফসলের নায্য-মূল্য ঘোষনায় তীব্র অনীহা । পঞ্চায়েতকে দূর্নীতি আখরা করে তুলেছে তৃণমূল , বিধবা-বার্ধক্য ভাতা সহ বিভিন্ন ভাতা ও প্রকল্পে চলেছে চরম দূর্নীতি । চরম হাহাকার গ্রাস করেছে আজকের গ্রাম বাংলাকে । শতাধিক কৃষকের আত্মহত্যায় গ্রাম বাংলায় মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর , যা বিগত ৩৪-বৎসরে বামফ্রন্ট সরকার থাকাকালীন সময়ে কখনই হয় নি । তাই গ্রাম বাংলার মানুষ আজ কৃষকসভা ও অন্যান্য বামপন্হী কৃষক সংগঠনের ডাকে কৃষিকাজ ধর্মঘট করে মোদী ও মমতা ব্যানার্জীর সরকারকে হুঁশিয়ারী দিয়েছে । বামফ্রন্টের ডাকে সারা রাজ্য জুড়ে প্রতিবাদ সভার আহ্বান জানানো হয়ছে । ভারতের কমিউনিষ্ট পার্টি ( মার্কসবাদী )-র ডাকে  দিল্লীতে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী  কমঃ মানিক সরকারের নেতৃত্বে বিক্ষোভ ও ধর্ণা হয়ছে । অন্যদিকে সিআইটিউ সহ ২২ ট্রেড ইউনিয়নের ( তৃণমূল বাদে ) ডাকে আজ পঃ বঙ্গের চটকল শ্রমিকরা সর্বাত্তক ধর্মঘট করেছেন । আজকের এই কৃষক ও শ্রমিক ধর্মঘটের সমর্থনে ইস্পাতনগরীতে  ভারতের কমিউনিষ্ট পার্টি ( মার্কসবাদী )-র দুর্গাপুর ইস্পাত জোনাল সাংগঠনিক কমিটির ডাকে সন্ধ্যায় ৩টি পথসভা অনুষ্ঠিত হয় । সেইল কো-অপঃ এর পথসভায় বক্তব্য রাখেন কমঃ সুব্রত সিনহা ও স্বপন মজুমদার , সভাপতিত্ব করেন কমঃ এস কে এন চৌধুরী । চণ্ডীদাস বাজার মোড়ের পথসভায় বক্তব্য রাখেন কমঃ অরুন চৌধুরী ও আল্পনা চৌধুরী , সভাপতিত্ব করেন কমঃ অশোক চক্রবর্তী । প্রান্তিকা মোড়ের পথসভায় বক্তব্য রাখেন কমঃ সীমান্ত তরফদার ও কবি ঘোষ , সভাপতিত্ব করেন কমঃ কাজল চ্যাটার্জী । 

Sunday, 23 November 2014

ভারতের কমিউনিষ্ট পার্টি ( মার্কসবাদী )-র দুর্গাপুর ২ নং আঞ্চলিক কমিটির ১০ম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হল ।

                                                       

দুর্গাপুর , ২৩শে নভেঃ : আজ , ইস্পাতনগরীর আশীষ-জব্বর ভবনে দুর্গাপুর ২ নং আঞ্চলিক কমিটির ১০ম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হল বিনয় কোঙার মঞ্চে
  । রক্তপতাকা উত্তোলন ও শহীদবেদীতে মাল্যদানের মধ্য দিয়ে সম্মেলনের সূচনা হয় । রক্তপতাকা উত্তোলন করেন ভারতের কমিউনিষ্ট পার্টি ( মার্কসবাদী )-র বর্ধমান জেলা কমিটির সদস্য কমঃ অজিত মুখার্জী । উদ্বোধনী ভাষনে ভারতের কমিউনিষ্ট পার্টি ( মার্কসবাদী )-র বর্ধমান জেলা কমিটির সদস্য কমঃ অপূর্ব চ্যাটার্জী । তিনি বলেন বিগত গৌরবময় ৫০ বৎসরে ভারতের কমিউনিষ্ট পার্টি ( মার্কসবাদী ) অনেকটা পথ অতিক্রম করে এসেছে । বিগত পার্টি কংগ্রেসে গৃহীত রণকৌশল এর মধ্য দিয়ে চলতে গিয়ে যে অভিজ্ঞতা পার্টি অর্জন করছে , তা সম্মেলনের আলোচনাকে সমৃদ্ধ করবে । বর্তমান সময়ে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার একদিকে পূর্বতন কং পরিচালিত উদারনৈতিক অর্থনীতিকে বজায় রেখে আরো কঠোর ভাবে লাগু করছে । অন্যদিকে এই ভয়াবহ জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে মানুষের স্বাভাবিক বিক্ষোভকে ধামাচাপা দিয়ে মানুষের মধ্যে বিভেদ তৈরি করার জন্য ভয়ঙ্কর সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্প ছড়িয়ে দিতে চাইছে আরএসএস-বিজেপি । আবার রাজ্যে তৃণমূল সরকার যেন কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের পরিপূরক । তৃণমূল সরকারের সময়ে পার্টি ও বামপন্হী শক্তির উপর ভয়ঙ্কর সন্ত্রাস নামিয়ে আনা হয়েছে । সাম্প্রদায়িক শক্তির সাথে হাত মিলিয়েছে তৃণমূল । আজ তৃণমূল ও বিজেপি উভয়ের জনবিরোধী ও সাম্প্রদায়িক বিভাজনের নীতিতে রাজ্য ও দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চল বিপন্ন । এর বিরুদ্ধে মানুষকে নিয়ে দৃঢ় প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে । সম্মেলনের মধ্য দিয়ে ২ জন আমন্ত্রিত সদস্য সহ ১৫ জনের নতুন আঞ্চলিক কমিটি গঠিত হয়েছে । সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন কমঃ বিজয় সাহা। সম্মেলনে উপস্হিত ছিলেন কমঃ সন্তোষ দেবরায় , সুশান্ত ব্যানার্জী , নির্মল ভট্টাচার্য সহ অন্যান্য নেতৃত্ব ।

                                                    








Thursday, 20 November 2014

৪২-তম শহীদ ষড়াণন মুখার্জী ও শহীদ সুনীল আচার্য স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইন্যাল খেলা অনুষ্ঠিত হল ।

                                                                     

দুর্গাপুর , ২০শে নভেঃ : আজ বিকালে , ইস্পাতনগরীর বি’জোনের নাগার্জুন রোডে মিলনচক্র ফুটবল ময়দানে ৪২-তম শহীদ ষড়াণন মুখার্জী ও শহীদ সুনীল আচার্য স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইন্যাল খেলা অনুষ্ঠিত হয় । ফাইন্যালে ট্রাইব্রেকারে  তানসেন অ্যাথালেটিক ক্লাব ৩-২ গোলে পলাশডিহা আদিবাসী সংঘকে হারিয়ে বিজয়ী হয় । সেরা খেলোয়ার নির্বাচিত হয়েছে তানসেন অ্যাথালেটিক ক্লাবের অনুপ বাউরী । পুরস্কার বিতরন করেন শ্রী রথীন রায় , সন্তোষ দেবরায় , সুবীর সেনগুপ্ত , সুখময় বোস , প্রফুল্ল মন্ডল প্রমূখ । বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন প্রাক্তন জাতীয় ফুটবলার শ্রী সুব্রত সিনহা । 







Wednesday, 19 November 2014

শ্রমিক-বিরোধী তৃণমূলের সন্ত্রাসরাজের দিন শেষ প্রহর গুনছে : বুঝিয়ে দিলেন দুর্গাপূর ইস্পাতের ঠিকা শ্রমিকরা ।

                                                  

দুর্গাপুর , ১৯শে নভেঃ : ১৭ই নভেঃ এর দুর্গাপূর ইস্পাত কারখানার মেইন গেটের সমাবেশ বুঝিয়ে দিয়েছিল তৃণমূলী দুষ্কৃতিদের হামলা-হুমকিকে দুর্গাপূর ইস্পাতের ঠিকা শ্রমিকরা আর পরোয়া করছে না । ঠিক ২-দিনের মাথায় দুর্গাপূর ইস্পাত কারখানার ২-নং গেটের সভায় শীতের সকালে হিমেল হাওয়ার আলতো স্পর্ষে অজস্র লাল পতাকায় ঠেউ এর মাঝে কালো মাথার সমুদ্র আর মুষ্টিবব্ধ হাত জানিয়ে দিল  তৃণমূলের রাজত্বে বঞ্চিত-শোষিত-নিপিড়ীত  ঠিকা শ্রমিকদের দূর্বার আন্দোলন আসন্ন । কোন শক্তিই আর ঠেকিয়ে রাখতে পারবে না । আন্দোলনের স্বাভাবিক নেতৃত্ব যে লালঝাণ্ডা ইউনিয়ন ইউ.সি.ডব্লু.ইউ ( সিআইটিইউ ) , সে কথা বলার আর অপেক্ষা রাখে না । এই কথা দৃঢ় প্রত্যয়ের সাথেই জানালেন ইউ.সি.ডব্লু.ইউ ( সিআইটিইউ ) এর সাধারন সম্পাদক কমঃ সুবীর ( লাল্টু ) সেনগুপ্ত । তিনি বলেন যে  গত ২০১১ সালের মে’মাসে তৃণমূলী সন্ত্রাসের শুরু । সেই সন্ত্রাসের শিকার হয়েছে হাজার হাজার ঠিকা শ্রমিক । উচ্ছেদ হয়েছেন ৩৫০০ ঠিকা শ্রমিক । তৃণমূলী দুষ্কৃতিদের  শারীরিক আক্রমনের শিকার হয়েছেন বহু শ্রমিক ও ইউ.সি.ডব্লু.ইউ এর নেতৃবৃন্দ  । গুরুতর জখম হয়েছেন অনেকে । উল্টে মমতা ব্যানার্জীর সরকারে দলভৃত্য পুলিশ অসংখ্য মিথ্যা মামলায় জড়িয়েছে  ইউনিয়ন নেতৃত্বকে । কিন্তু এত করেও ইউ.সি.ডব্লু.ইউ কে ধ্বংস করা যায় নি , যাবেও না । উল্টে আপাদমস্তক দূর্নীতিগ্রস্হ  তৃণমুলের কংকালসার চেহারা শ্রমিকদের কাছে স্পষ্ট হয়ে ফুটে উঠেছে । সারদা-সহ বিভিন্ন চিঠফান্ডের কেলেঙ্কারীতে তৃণমূলের সর্বস্তরে নেতৃত্বের যোগসাজসের কথা সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়ছে । তৃণমূলের নেতারা গ্রেফ্তার হয়ছেন , হয়তো আরও হবেন । লক্ষ লক্ষ মানুষ প্রতারিত হয়ে নিঃস্ব হয়ছেন । তার মধ্যে অনেক ঠিকা শ্রমিকও আছেন । শুধু তাই নয় , তৃণমূলের নেতা , ঠিকাদার ও কারখানার  আধিকারিকদের একাংশের অশুভ যোগসাজসে বেতন-চুক্তিকে নসাৎ করে দিয়ে  কর্মরত ঠিকা শ্রমিকদের দৈনিক বেতন ১০০ টাকা- ১২০ টাকা দেওয়া হচ্ছে , যা বামফ্রন্ট সরকার থাকাকালীন সর্বোচ্চ হয়ছিল দৈনিক ৪৫০ টাকা-৫০০ টাকা । তৃণমূলীদের নেতৃত্ব ঠিকাদাররা ঠিকা শ্রমিকদের উপর যে চরম শোষন চালাচ্ছে । ঠিকা শ্রমিকদের  মাসিক বেতন কবে হবে তা ঠিক না থাকলেও তৃণমূলের নেতাদের বেতন ঠিক সময়ে হয় যায় । অনেক তৃণমূলের নেতা একসাথে অনেক কোম্পানী থেকে বেতন তুলছে বলে অভিযোগ উঠছে । কারখানায় এই চরম শ্রমিক-বিরোধী কাজের প্রতিবাদ করে , অনেক তৃণমূল কর্মীকেও কাজ হারাতে হয়ছে । ডিএসপি কারখানার কর্তৃপক্ষও এই সুযোগে  ঠিকা শ্রমিকদের একের পর এক অধিকার কেড়ে নিচ্ছে কারন দূর্নীতিগ্রস্হ ও শ্রমিকবিরোধী তৃণমূল নেতৃত্ব কর্তৃপক্ষের কাছে কার্যতঃ মাথা বিকিয়ে দিয়েছে । তিনি আরও বলেন যে সন্ত্রাসের বাতাবরনের মধ্যেই ইউনিয়ন কাজ চালিয়ে গেছে এবং বেতন-চুক্তি অনুসারে ঠিকা শ্রমিকদের নায্য দাবী আদায়ের আন্দোলন গড়ে তুলেছে । শ্রমিকদের মধ্যে সাড়া পড়ে গেছে । হতাশ তৃণমূল নেতৃত্ব মোহমুক্ত ঠিকা শ্রমিকদের মধ্যে গুজব রটাচ্ছে যে লালঝঝাণ্ডা ইউনিয়ন ফিরে এলে শ্রমিক উচ্ছেদ ঘটবে । কমঃ সুবীর ( লাল্টু ) সেনগুপ্ত দৃঢ়তার সাথেই বলেন যে সিআইটিইউ যে উচ্ছেদ-রাজনীতি বা বদলার-রাজনীতি কখনও করেনা , তার জলজ্যান্ত প্রমান দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা । ১৯৭৭ সালে বামফ্রন্ট সরকার আসার পড়ে কোন শ্রমিক উচ্ছেদ হওয়া তো দুরে থাক বরং ইউ.সি.ডব্লু.ইউ এর আন্দোলনের ফলে দলমত নির্বিশেষে  ঠিকা শ্রমিকরা  স্হায়ী শ্রমিক হয়েছেন । তিনি জোড় দিয়ে বলেন যে ইউ.সি.ডব্লু.ইউ  দাবী জানাচ্ছে যে দুর্গাপুর ইস্পাতের কর্তৃপক্ষকে অবিলম্বে উচ্ছেদ হওয়া ৩৫০০ ঠিকা শ্রমিককে পুনর্বহাল করতে হবে ,কোন কর্মরত ঠিকা শ্রমিককে উচ্ছেদ ছাড়াই । একই সাথে তিনি , তৃণমূলের নেতৃত্বের প্ররোচনায় পা দিয়ে , হিংসার আশ্রয় না নেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন । কমঃ সেনগুপ্ত একই সাথে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের শ্রমিক-বিরোধী নীতির তীব্র সমালোচন করেন এবং ঠিকা শ্রমিক ও ইউ.সি.ডব্লু.ইউ এর পক্ষ থেকে আগামী ২৪শে নভেঃ দেশব্যাপী কয়লা-শিল্পে ধর্মঘটের কে পূর্ন সমর্থন জানানা । দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার স্হায়ী শ্রমিকদের সংগঠন হিন্দুস্হান স্টিল এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন ( সিআইটিইউ ) এর পক্ষে কমরেড প্রকাশতরু চক্রবর্তী সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন এবং কেন আগামী ২৪শে নভেঃ দেশব্যাপী কয়লা-শিল্পে ধর্মঘট , সারা ভারতের শ্রমিকশ্রেনীর লড়াইতে পরিনত হয়ছে তা ব্যাখা করেন । সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রবীন শ্রমিক নেতা কমঃ বিভূতি দাস মন্ডল ।



Monday, 17 November 2014

সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে ও রাজ্যে গনতন্ত্রের পুনঃস্হাপনার লড়াইতে শিল্পী-সাহিত্যিকরা সামিল হবেন ।

                                                

দুর্গাপুর ,১৬ই নভেঃ : আজ , দুর্গাপুর স্টেশন সংলগ্ন দুর্গাপুর গেষ্ট হাউসে পঃ বঙ্গ গণতান্ত্রিক লেখক শিল্পী সংঘের দুর্গাপুর ২ আঞ্চলিক কমিটির ৮-ম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হল । উদ্বোধনী ভাষন দেন পঃ বঙ্গ গণতান্ত্রিক লেখক শিল্পী সংঘের বর্ধমান জেলার সভাপতি কমঃ পরেশ মন্ডল । ১৬৫ জন প্রতিনিধি উপস্হিত ছিলেন । ৭-জন প্রতিনিধি রিপোর্টের উপর আলোচনা করেন এবং ৯ জন প্রতিনিধি সম্মেলনে গান-আবৃতি ও নৃত্য পরিবেশন করেন । সম্মেলনকে অভিনন্দন জানিয়ে প্রাক্তন বিধায়ক কমঃ বিপ্রেন্দু চক্রবর্তী , পঃ বঙ্গ গণতান্ত্রিক লেখক শিল্পী সংঘের বর্ধমান জেলার যুগ্ম-সম্পাদক কমঃ সুকোমল ঘোষ ও আদিবাসী লোকশিল্পী সংঘের পক্ষে কমঃ মনো সরেণ । সম্মেলন ২১-জন সদস্যের দুর্গাপুর পূর্বাঞ্চল কমিটি ও ১৯-জন সদস্যের দুর্গাপুর পশ্চিমাঞ্চল কমিটি নির্বাচিত করছে । সভাপতি নির্বাচিত হয়ছেন যথাক্রমে কবি ঘোষ ও অশোক মজুমদার । 

২৪ নভেঃ কয়লা শিল্পে সর্বভারতীয় ধর্মঘটের সমর্থনে ইস্পাত শ্রমিকদের গণ-কনভেনশন অনুষ্ঠিত হল ।

                                                             

দুর্গাপুর , ১৭ই নভেঃ : আজ সন্ধ্যায় , ইস্পাতনগরীর বি.টি.রণদিভে ভবনে হিন্দুস্হান স্টিল এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন ( সিআইটিইউ ) এর উদ্যোগে ২৪ নভেঃ  কয়লা শিল্পে সর্বভারতীয় ধর্মঘটের সমর্থনে ইস্পাত শ্রমিকদের গণ-কনভেনশন অনুষ্ঠিত হল । ধর্মঘটের কারন বিশদে ব্যাখ্যা করে অল ইন্ডিয়া কোল ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সাধারন সম্পাদক কমঃ জীবন রায় দৃঢ়তা সাথে বলেন বলেন কয়লা শিল্পের বেসরকারীকরনের লক্ষ্যে  মোদি সরকারের কয়লা-অর্ডিন্যান্সের বিরোধিতায়  ৪টি ট্রেড ইউনিয়নের ডাকা আগামী ২৪শে নভেঃ কয়লাশিল্পের সর্বভারতীয় ধর্মঘট এযাবৎ কালের মধ্যে সর্বাপেক্ষা দৃঢ় শ্রমিক-ঐক্যের ভিত্তিতে সর্ববৃহৎ বেসরকারীকরন বিরোধী ধর্মঘটে পরিনত হবে । কনভেনশনে সভাপতিত্ব করেন কমঃ অজিত মুখার্জী । 

বৃহৎ লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার ঠিকা শ্রমিকরা ।

                                                          

দুর্গাপুর , ১৭ই নভেঃ : আজ সকালে , দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার মেইন গেটে ইউনাইটেড কন্ট্রাক্টার ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন ( UCWU ) ,সিআইটিইউ এর ডাকে উচ্ছেদ ঠিকা শ্রমিকদের অবিলম্বে পূণর্বহাল , বেতন-চুক্তি অনুসারে ঠিকা শ্রমিকদের বেতন , চুক্তি অনুসারে বি-লিষ্ট নোটিফায়েড ভুক্ত ঠিকা-শ্রমিকদের স্হায়ীকরন ও অবিলম্বে কারখানায় ঠিকা শ্রমিকদের অধিকার ও ট্রেড ইউনিয়ন গনতন্ত্রের পূনঃপ্রতিষ্ঠার দাবীতে একটি বিশাল গেটসভা হয় । কার্যতঃ তৃণমূলের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে  ব্যাপক সংখায় কর্মরত ও উচ্ছেদ হওয়া শয়ে শয়ে ঠিকা শ্রমিকদের উপস্হিতি বুঝিয়ে দেয় যে তৃণমূলের শ্রমিক-বিরোধী নীতির বিরুদ্ধে ক্ষোভ বাড়ছে । জেনারেল শিফটে কারখানার ঢোকার মুখে বহু ঠিকা , এমনকি স্হায়ী শ্রমিকরা কিছুক্ষনের জন্যে সভার বক্তব্য শোনার জন্য দাঁড়িয়ে সংহতি জানিয়ে যান । প্রসংগত , বিগত ৬-দশক ধরে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার ঠিকা শ্রমিকদের রুটি-রুজির ও স্হায়ীকরনের লড়াইয়ে UCWU এর অন্যন্য নেতৃত্ব সারা ভারতে ঠিকা শ্রমিকদের আন্দোলনে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে । কিন্তু গত ২০১১ সালে তৃণমূল সরকার তৈরি হওয়ার সাথে সাথে , ঠিকা শ্রমিক ও UCWU এর উপর ভয়ংকর আক্রমন নেমে আসে । তৃণমূলীদের  শারীরিক আক্রমনে অনেকে জখম হয় । নিরাপত্তা দেখার বদলে পুলিশ UCWU নেতা ও কর্মীদের  অসংখ্য মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দেয় ।UCWU এর নেতৃত্ব সহ ৩৫০০ এর বেশী ঠিকা-শ্রমিককে সিআইটিইউ করার অপরাধে কারখানা থেকে উচ্ছেদ করা হয়। বর্তমানে কারখানার অভ্যন্তরে তৃণমূলীদের নৈরাজ্যে চরম পর্যায় পৌঁছে । তৃণমূল , ঠিকাদার ও কারখানার আধিকারিকদের একাংশের অশুভ আঁতাত কর্মীদের চুক্তি অনুসারে প্রাপ্য মজুরীর বদলে অনেক কম মজুরী নিতে বাধ্য করছে । অন্যান্য অধিকার থেকেও বঞ্চিত করা হচ্ছে । এই অবস্হায় আজকের গেটসভা ঠিকা শ্রমিকদের মধ্যে উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছে । অনেক কর্মরত ঠিকা – শ্রমিক UCWU নেতৃত্বেকে কাছে পেয়ে বুকে জড়িয়ে ধরেন । সভায় UCSW এর  সাধারন সম্পাদক কমঃ সুবীর ( লাল্টু ) সেনগুপ্ত  বলেন যে তৃণমূলের পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গেছে । শ্রমিকদের কাছে তৃণমূলের স্বরূপ ধরা পড়ে গেছে । তিনি ঠিকা শ্রমিকদের দাবী নিয়ে UCWU এর আন্দোলনকে আগামীদিনে আরোও জোড়াল করার এবং  রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের জনবিরোধী ও শ্রমিক-বিরোধী  নীতির বিরুদ্ধে তীব্র লড়াই গড়ে তোলার জন্য ঠিকা শ্রমিকদের আহ্বান জানান । সভায়  দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার স্হায়ী শ্রমিকদের  সংগঠন হিন্দুস্হান স্টিল এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন  ( সিআইটিইউ ) এর পক্ষে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন কমঃ কবিরঞ্জন দাসগুপ্ত । সভাপতিত্ব করেন কমঃ জি এস দাস । 
                                                




Sunday, 16 November 2014

সেইল সমবায় আবাসনে কমঃ মিনতি মুখার্জী মঞ্চে বাৎসরিক রক্তদান শিবির অনুষ্ঠিত হল ।

                                                         

দুর্গাপুর , ১৬ই নভেঃ : আজ সকালে , সেইল সমবায় আবাসনে কল্লোল আবাসন সমবায় সমিতির পক্ষ থেকে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের সহযোগীতায় কমঃ মিনতি মুখার্জী মঞ্চে বাৎসরিক রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয় । রক্তদান শিবিরের উদ্বোধন করেন দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার ব্লাষ্ট ফার্ণেস বিভাগের জিএম শ্রী দেবাশীষ গুহ । উপস্হিত ছিলেন ডঃ দীপক চন্দ্র নন্দী , ডঃ কৃপাসিন্ধু সাহা সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ । ২১ জন সমবায় আবাসিক রক্তদান করেন । 

                                 


নিখিলবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির বর্ধমান জেলা শাখার ২৪-তম বার্ষিক সাধারন সভা অনুষ্ঠিত হল দুর্গাপুরে ।

                                                            


দুর্গাপুর , ১৬ই নভেঃ : আজ সকালে, নিখিলবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির বর্ধমান জেলা শাখার ২৪-তম বার্ষিক সাধারন সভা অনুষ্ঠিত হল ইস্পাতনগরীর বি’জোনে বি.টি . রণদিভে ভবনের কমঃ অনির্বান চৌধুরী নগর ও কম যুধিষ্ঠির মুর্মু মঞ্চে । সভায় উপস্হিত ছিলেন ১৭২ জন প্রতিনিধি । সভার সূচনা হয় হয় সংগঠনের পতাকা উত্তোলন ও শহীদবেদীতে মাল্যদানের মধ্য দিয়ে । পতাকা উত্তোলন করেন নিখিলবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির বর্ধমান জেলা শাখার সভানেত্রী কমঃ সুজাতা পাল । শহীদবেদীতে মাল্যদান করেন কমঃ সুজাতা পাল , আশীষ হাজরা , অভিজিৎ মুখার্জী , সেখ সাইদুল হক সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ । সভায় উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন নিখিলবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির রাজ্য কমিটির সভাপতি ও সর্বভারতীয় শিক্ষক সংগঠন এসটিএফআই এর সভাপতি কমঃ অভিজিৎ মুখার্জী । এছাড়াও সভায় অভিনন্দন জানিয়ে বক্তব্য রাখেন প্রাক্তন সাংসদ ও শিক্ষাবিদ সেখ সাইদুল হক । সভায় আলোচনার জন্য রিপোর্ট পেশ করেন : আজ সকালে, নিখিলবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির বর্ধমান জেলা শাখার সম্পাদক কমঃ আশীষ হাজরা । রিপোর্টের উপর আলোচনায় অংশগ্রহন করেন ২৩  জন । 





Wednesday, 12 November 2014

নভেম্বর বিপ্লবের বার্তা আজও শ্রমজীবি – সর্বহারা মানুষের শোষনমুক্তির সংগ্রামের দিশা নির্দেশ করছে – অমল হালদার ।

                                                               

দুর্গাপুর , ১২ই নভেঃ : আজ সন্ধ্যায় , ভারতের কমিউনিষ্ট পার্টি ( মার্কসবাদী )-র দুর্গাপুর ১বি জোনাল কমিটির অন্তর্গত ৫ ও ৬ নং আঞ্চলিক কমিটির উদ্যোগে আশীষ-জব্বর ভবনে  মহান  নভেম্বর বিপ্লবের ৯৭-তম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে ,”আজকের দিনে নভেম্বর বিপ্লবের প্রাসঙ্গিকতা “-শীর্ষক আলোচনা সভায় একথা বলেন ভারতের কমিউনিষ্ট পার্টি ( মার্কসবাদী )-র রাজ্য কমিটির সদস্য ও বর্ধমান জেলা কমিটির সম্পাদক কমরেড অমল হালদার । কিভাবে  রাশিয়ায় ১৯০৫ সালের ব্যর্থ-বিপ্লবের পরে নেমে আসা  হিংস্র স্তলিপিনিয়-প্রতিক্রিয়ার বিরুদ্ধে কমরেড লেনিনের নেতৃত্বে বলসেভিক পার্টি ও শ্রমিকশ্রেনী কৌশলি অথচ দৃঢ় পদক্ষেপে পরিবর্তনের-সূত্রের বিচক্ষন প্রয়োগ করে ১৯১৭ সালে নভেঃ বিপ্লবের মধ্য দিয়ে বিশ্বের প্রথম সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র সোভিয়েত ইউনিয়ন গঠন করেন , ১৪টি সাম্রাজ্যবাদী দেশের যুথবদ্ধ নৃশংস আক্রমন প্রতিহত করে কমঃ লেনিন ও পরে কমঃ স্তালিনের নেতৃত্বে সমৃদ্ধশালী রাষ্ট্র গড়ে তোলেন এবং ২ কোটি সোভিয়েতবাসীর মৃত্যু সত্বেও অজেয় লালফৌজ নৃশংস ফ্যাসিবাদী হিটলারের অপরাজেয় নাৎসিবাহিনীকে পরাস্ত করে ও দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধোত্তোর সময়ে সোভিয়েত পুনর্গঠন করে , সেই সূত্রের আদ্যোপান্ত বিশ্লেষন আজকের সময়ের সংগ্রামের পাথেয় । তিনি আরও বলেন যে দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধোত্তোর সময়ে ভারত সহ সদ্য স্বাধীন তৃতীয় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অর্থনীতিতে  সোভিয়েত ইউনিয়নের অসামান্য অবদান চিরস্মরনীয় । তবে মতাদর্শগত বিচ্যূতির কারনে সোভিয়েতের পতন ঘটলেও তা কখনই মার্কসবাদকে অপ্রাসঙ্গিক করে না বরং আজকের পুঁজিবাদী সমাজের কংকালসার চেহারা ও বিশ্বজোড়া শ্রমজীবি – সর্বহারা মানুষের ক্রমবর্ধমান লড়াই-সংগ্রাম আরও বেশী করেই মার্কসবাদের প্রাসঙ্গিকতাকে প্রমান করেছে । তিনি এই প্রসংগে আরও বলেন যে আজকে ভারতে বিজেপি-আরএসএস এর নেতৃত্বে কর্পোরেট শক্তির পক্ষে যে ভয়ংকর সাম্প্রদায়িক শক্তির উথ্থান ঘটেছে তার বিরুদ্ধে পঃ বঙ্গ সহ সারা ভারতে বামপন্হীদের অত্যন্ত সজাগভাবে শ্রেনী ঐক্য বজায় রাখার লড়াই জারি রাখতে হবে এবং মিডিয়া যেভাবে ভারত জুড়ে বামপন্হীদের লড়াই-সংগ্রামকে ও সিপিআইএম-সহ বামপন্হীদের ‘ ব্ল্যাক-আউট ‘ করছে , তার বিরুদ্ধে গণশক্তি সহ অন্যান্য পত্র-পত্রিকার প্রচার বৃদ্ধিসহ অন্যান্য প্রার মাধ্যমের ব্যবহার বাড়াতে হবে ।
  আজকের এই বিশাল হল সভায় সভাপতিত্ব করেন কমঃ সুশান্ত ব্যানার্জী । উপস্হিত ছিলেন কমঃ সন্তোষ দেবরায় , নির্মল ভট্টাচার্য সহ অন্যান নেতৃবৃন্দ । 

      





  

Sunday, 9 November 2014

পশ্চিমবঙ্গ গণতান্ত্রিক লেখক-শিল্পী সংঘের দুর্গাপুর ইস্পাত ১নং আঞ্চলিক কমিটির অষ্টম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হল।

                                                         

দুর্গাপুর , ৯ই নভেঃ : আজ বিকেলে , ইস্পাতনগরীর সি-জোনে চিলড্রেন্স আকাদেমী অফ কালচারের প্রেক্ষাগৃহে রমেন দাস নগরের ধীরেন দেব-দিলীপ সরকার মঞ্চে অনুষ্ঠিত হল পশ্চিমবঙ্গ গণতান্ত্রিক লেখক-শিল্পী সংঘের দুর্গাপুর ইস্পাত ১নং আঞ্চলিক কমিটির অষ্টম সম্মেলন । সংগঠনের পতাকা উত্তোলন করেন শ্রী নির্মাল্য ঘোষ । শহীদবেদীতে মাল্যদান করেন শ্রী নির্মাল্য ঘোষ , সুকোমল ঘোষ , অনুপ মিত্র ,কবি ঘোষ সহ অন্যান লেখক শিল্পীরা । উদ্বোধনী সংগীত পরিবেশন করে লহরী শিল্পগোষ্ঠী । উদ্বোধনী ভাষন দেন বিশিষ্ট সাহিত্যিক শ্রী আরতি বসু ।সম্মেলন মঞ্চে দুর্গাপুরের বিশিষ্ট শিল্পী-সাহিত্যিক শ্রী দীপক দেব,নির্মাল্য ঘোষ , গিরীন্দ্রনাথ চাকী , কৃষ্ণ দেব ও শেখ নেহালুদ্দিন কে সম্বর্ধিত করা হয় । প্রকাশ করা হয় মানবিক পত্রিকার সাম্প্রতিক সংখ্যা ।    সম্মেলনে উপস্হিত ছিলেন ৬৫ জন শিল্পী-সাহিত্যিক । সম্মেলন ২১ জনের নতুন কমিটিকে নির্বাচিত করেছে । সভাপতি পদে শ্রী কার্তিক দাস , কোষাধ্যক্ষ পদে সমর দাস ও যুগ্ম-সম্পাদক পদে শ্রী কানাই বিশ্বাস ও শ্যামল ব্যানার্জী নির্বাচিত হয়ছেন ।