Wednesday 13 November 2019

ভারতীয় সমাজজীবনে এন.আর.সি প্রয়োগ যুক্তিসঙ্গত নয় : প্রকাশ্য বিতর্ক সভায় উঠে এল অভিমত




দুর্গাপুর,১৩ই নভেঃ : আজ ইস্পাতনগরীর ব্যস্ততম আশিস মার্কেটে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি ( মার্কসবাদি)-র দুর্গপুর ইস্পাত ৩ এরিয়া কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত এক জনাকীর্ণ প্রকাশ্য বিতর্ক সভায় সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ এই অভিমতের সাথে একমত হয়ে পরিস্কার জানিয়ে দিলেন,” নো এন.আর.সি” - বাংলায় কোন ভাবেই এন.আর.সি চালু করা যাবে । সভার মতের বিরুদ্ধের বক্তারা যখন বিতর্কের ধূম্রজাল তৈরি করে বোঝাবার চেষ্টা করেন যে তথাকথিত ‘অনুপ্রবেশকারী’-দের চিহ্নিত করার জন্য এন.আর.সি চালু করা যথাযথ পদক্ষেপ তখন সভায় পক্ষের বক্তারা শানিত যুক্তি দিয়ে বিরোধী বক্তব্য কে ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন করে প্রশ্ন তোলেন যে অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করতে ব্যর্থ মোদি সরকার সাধারন নাগরিকদের উপর নাগরিকত্ব প্রমানের দায়িত্ব কেন চাপিয়ে দিতে চাইছে ? যখন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রমান হাজির করতে পারছেন না,রাফায়েল বিমান খরিদের কাগজপত্র সরকারের হেফাজতের থেকে ‘নিঁখোজ’ হয়ে যায়,তখন কোটি কোটি সাধারন মানুষ কি ভাবে পূর্বপুরুষের জন্মের কাগজপত্র দেখাতে পারবেন ? এই ধরনের কাগজ-সর্বস্ব নাগরিকত্ব ধারনা ভারতীয় সংবিধানের  পরিপন্হি । আসামের নাগরিকপঞ্জীর কাজ শুরুর পেছনে আসাম-চুক্তির ভূমিকা থাকলেও পশ্চিমবঙ্গ সহ অবশিষ্ট ভারতে এর প্রয়োগের কোন সাংবিধানিক সারবত্তা নেই । আসলে দেশের গোল্লায় যাওয়া অর্থনীতিতে ভয়ংকরভাবে আঘাতপ্রাপ্ত সাধারন মানুষের দৃষ্টি ঘোরাতে মোদি সরকার সুকৌশলে ধর্মীয় ভাবাবেগ ব্যবহার করার লক্ষ্যে এনআরসি কে নিয়ে আতঙ্ক তৈরি করতে চাইছে । বিচারক মন্ডলীর পক্ষ থেকে বলতে গিয়ে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি ( মার্কসবাদি)-র পশ্চিম বর্ধমান জেলা কমিটির সম্পাদক গৌরাঙ্গ চ্যাটার্জি বলেন যে আরএসএস এনআরসি কে কেন্দ্র করে জাতিগত বিভেদও তৈরি করতে চাইছে  আর বিজেপি সুকৌশলে এই নীতির প্রয়োগের জন্য আসাম ও পশ্চিমবঙ্গ কে বেছে নিয়েছে । এক্ষেত্রে রাজ্যের তৃণমূল সরকারও দোসরের ভূমিকা পালন করছে । আসামের নাগরিকপঞ্জীর কাজ শুরু হলে ,প্রামান্য নথিপত্রের জন্য প্রায় লক্ষাধিক আবেদন জমা পড়ে । কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ সরকার মাত্র আট হাজার জনের নথি পাঠিয়ে প্রমান করেছে যে সাধারন মানুষের পাশে দাঁড়ানোর কোন সদিচ্ছা নেই । লাল ঝাণ্ডার নেতৃত্বে এনআরসি চক্রান্ত রুখতে মানুষ কে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য তিনি আহ্বান এছাড়াও বিচারক মন্ডলীর পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন সন্তোষ দেবরায় ও পঙ্কজ রায় সরকার । সঞ্চালনা করেন নির্মল ভট্টাচার্য । 








No comments:

Post a Comment