Wednesday 14 November 2018

৮-৯ই জানুয়ারি ধর্মঘটের প্রস্তুতি জোরদার করার আহ্বান জানালেন নেতৃবৃন্দ ।




দুর্গাপুর,১৪ই নভেঃ : আজ সন্ধ্যায় ইস্পাতনগরীর দেশবন্ধু ভবনে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি ( মার্কসবাদি ) –র দুর্গাপুর ইস্পাত ১,২ ও ৩ এরিয়া কমিটির যৌথ সভায় আগামী ২০১৯ সালের  ৮-৯ই জানুয়ারি  ধর্মঘট সর্বাত্মক করে তোলার জন্য আহ্বান জানালেন নেতৃবৃন্দ । পার্টি কর্মি ও ঘনিষ্ঠ দরদিদের নিয়ে এই সভায় “ দেশব্যাপি ধর্মঘট : প্রেক্ষাপট ও আমাদের কর্তব্য “ – বিষয়ে আলোচনা করতে গিয়ে পার্টির কেন্দ্রিয় কমিটির সদস্য আভাস রায়চৌধুরী পুঁজিবাদের অবসম্ভ্যাবী সংকটের পরিপ্রক্ষিতে ভারতের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকটের সমাপতনের কথা তুলে ধরেন । তিনি বলেন যে এই সংকট কাটবে এই রঙীন প্রতিশ্রুতি দিয়ে ১৯৯১ সালে উদার অর্থনীতির নামে ফিনান্স পুঁজির বিশ্বায়নের চাকায় ভারত কে জুড়ে দেওয়া হয় । পরবর্তি সময়ে বাজপেয়ির নেতৃত্বে এন.ডি.এ সরকারের সময়ে এই অর্থনৈতিক নীতি কে এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে রাষ্ট্রায়ত্ব সংস্হা গুলি কে বিক্রি ও বন্ধ করে দেওয়া শুরু হয় । এই বিষয়ে এক পৃথক দফ্তর চালু করা হয় । লোক মুখে সেই দফ্তরে নাম দাঁড়ায় ‘কেনারাম-বেচারামে’-র দফ্তর । অর্থনৈতিক প্রশ্নে কংগ্রেস ও বিজেপির প্রায় পার্থক্য নেই । কিন্তু জনবিরোধী  বিশ্বায়িত উদার অর্থনীতির বিরুদ্ধে আমাদের পার্টি সহ অন্যান্য বামপন্হি দল গুলি প্রথম থেকেই বিরোধিতা করছে । সি.আই.টি.ইউ-কৃষক-সভা-ক্ষেত মজদুর ইউনিয়ন সহ অন্যান্য বামপন্হি ট্রেড ইউনিয়ন ও গন সংগঠন গুলি এই নীতির বিরুদ্ধে ১৯৯১ সাল থেকে প্রায় বছর ধর্মঘট পালন করেছে । বর্তমানে এই আন্দোলনের সালে অ-বাম সংগঠন গুলি যুক্ত হওয়া ফলে আন্দোলন-লড়াই-ধর্মঘটের পরিধি বৃহত্তর পর্যায়ে পৌঁছাতে পারছে । ইতিমধ্যে মোদির নেতৃত্বে এন-ডি-এ সরকারে আমলে এই অর্থনৈতিক নীতি ধান্দার পুঁজিবাদের রূপ নিয়েছে । এর ফলে কর্পোরেট জগৎ সরাসরি সরকারি মদতে জনগনের সম্পদ লুঠ করছে । রাষ্ট্রায়ত্ব সংস্হা জলের দরে কিনছে,ব্যাঙ্কের গচ্ছিত আমানত ফাঁকা করছে । ফলে ভয়াবহ বেকারিত্ব,পেট্রোল-ডিজেল সহ নিত্য প্রয়োজনিয় জিনিষের প্রতি দিন চড়া হারে দাম বাড়ছে । এই কুশাসনের বিরুদ্ধে মানুষের জ্বলন্ত ক্ষোভ চাপা দিতে বিজেপি সাম্প্রদায়িক-জাতপাত-ভাষার ভিত্তিতে বিভেদ উসকে দিতে চাইছে  । রাজ্যে এই নীতির আরেক বাহক তৃণমূল বিজেপির সাথে ‘প্রতিযোগিতামূলক’ বিভেদের খেলায় মেতেছে মানুষ কে ভুল বোঝনোর জন্য ।গত দুমাসে রাজ্য সরকারের সংস্হায় ৩৪ দিন ছুটি দিয়ে ‘কর্মসংস্কৃতি’র-র দোহাই দিয়ে ধর্মঘটের বিরোধিতা করে সন্ত্রাস তৈরি করার রাস্তায় গেলে ধর্মঘট সফল করতে সেই সন্ত্রাস কে পরাস্ত করতে হবে । আগামী ধর্মঘটের মধ্য দিয়ে ‘মোদি হটাও দেশ বাঁচাও’ দাবি সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছাবে । আমাদের পার্টি যে বাম ও গনতান্ত্রিক ফ্রন্ট গড়ে তুলছে,ধর্মঘটের প্রস্তুতি ও সফল ধর্মঘটের মধ্য দিয়ে তা আরও শক্তিশালি হবে ।
এছাড়াও বক্তব্য রেখেছেন সন্তোষ দেবরায় । উপস্হিত ছিলেন পার্টির পশ্চিম বর্ধমান জেলা সম্পাদক গৌরাঙ্গ চ্যাটার্জী,নির্মল ভট্টাচার্য,পঙ্কজ রায়সরকার,সুবীর সেনগুপ্ত প্রমূখ ।












No comments:

Post a Comment