Monday 8 April 2019

আমাদের লোক – সি.পি.আই.(এম) প্রার্থী আভাস রায়চৌধুরীর প্রচার পর্বেই বিপুল জনসমর্থনের ইঙ্গিত স্পষ্ট হচ্ছে ।




দুর্গাপুর,৮ই এপ্রিল : তিন সপ্তাহ বাদে ভোট গ্রহন হবে বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের । এরই মধ্যে প্রচারের ঝড় তুলেছেন বামফ্রন্ট মনোনীত সি.পি.আই.(এম) এর প্রার্থী তরুন তুর্কী আভাস রায়চৌধুরী । আজ সকাল থেকে ইস্পাতনগরী , সংলগ্ন গ্রামাঞ্চল ও বস্তি অঞ্চল চষে বেড়ালেন আভাস রায়চৌধুরী । সাথে ছিলেন এক বিশাল কর্মী বাহিনী সহ দুর্গাপুর(পূর্ব) এর বিধায়ক সন্তোষ দেবরায় । ধামসা-মাদল-খোল-করতাল নিয়ে বাজাতে বাজাতে আদিবাসী লোক সংস্কৃতি মঞ্চের শিল্পীবৃন্দ ছিলেন সাথে । সকালে প্রচার শুরু হয় কৃষক সংগ্রামের পীঠস্হান বিজড়া গ্রাম থেকে । তারপর একে একে পদযাত্রা যায় শোভাপুর,মহুয়াবাগান,হাজরা পাড়ায় । শেষ হয় উইলিয়াম কেরী মোড়ে । বিকালে পদযাত্রা যায় সংলগ্ন ধোবিঘাট-মধুপল্লী-রঘুনাথপুরে । এছাড়াও যায় ইস্পাতনগরীর পাওয়ার হাউস-হেল্থ সেন্টার-তালতলা-ট্রাঙ্ক রোড বস্তিতে । সব জায়গায় মিলেছে উষ্ণ অভ্যর্থনা । গভীর সংকটে ইস্পাতনগরী  সংলগ্ন গ্রামাঞ্চল । সংস্কারের অভাবে চাষের জল যোগাতে পারছে না বক্সীর বাঁধ ।দুর্গাপুর ইস্পাতে কাজে যুক্ত ছিলেন এরকম ৩৫০০ ঠিকা শ্রমিক কে তৃণমূল ২০১১ সালে রাজনৈতিক কারনে উচ্ছেদ করে । এদের একটা বড় অংশই বাস করেন  সংলগ্ন গ্রামাঞ্চল ও বস্তি অঞ্চলে । একই কারনে তৃণমূল বিজড়া গ্রাম,শোভাপুর,মহুয়াবাগান ও হাজরা পাড়ায় বহু সংখক শ্রমিককে উচ্ছেদ করেছে আই-কিউ সিটি হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজ থেকে । এই শ্রমিকদের বড় অংশই ছিলেন বামফ্রন্ট সরকারের সহায়তায় বেসরকারী উদ্যোগে গড়ে ওঠা আই-কিউ সিটি হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজের জমিদাতা । উচ্ছেদ হয়েছে মনেট কারখানায় । অন্যদিকে নতুন কর্মসংস্হান নেই ।মোদি ও মমতা দুই সরকারের আমলে দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলে শিল্পের মড়ক লেগেছে । ইতিমধ্যে কারখানা বন্ধের ফলে লক্ষাধিক লোক কাজ হারিয়েছে । নতুন শিল্প হওয়ার আশা নেই । তরুনরা দুর্গাপুর ছেড়ে যাচ্ছেন । অথচ এক কালে কাজের আশায় মানুষ দুর্গাপুরে আসতেন । বিপদাপন্ন দুর্গাপুরের প্রান ভোমরা রাষ্ট্রায়ত্ব শিল্প । এই সবের ধাক্কায় বিশেষ  বিপদাপন্ন সংলগ্ন গ্রামাঞ্চল ও বস্তি অঞ্চলের মানুষ  । মানুষের মুখে মুখে ফিরছে দুর্গাপুর এখন ‘দুর্দশাপুর’ । কিন্তু এর মধ্যেই ফুলে ফেঁপে উঠছে স্হানীয় তৃণমূল নেতারা । গ্রামের মানুষ জানালেন যে এই অবস্হায় কোন বেসরকারী কাজের জন্য বেকারদের কাছে ত্রিশ হাজার থেকে দুলক্ষ টাকার সেলামী আদায় করে নেতাদের গলায় ‘মোষের দড়ি’-র মত মোটা সোনার চেন ঝুলছে । বিভিন্ন ভাতার টাকা মিলছে না । মিলছে না  রেশন কার্ড । আধুনিক মহাজন বিভিন্ন মাইক্রো-ফিনান্স  সংস্হার অবর্ণনীয় শোষনের শিকার হচ্ছেন গরীব মানুষ । ৮০% থেকে ১৫০% চড়া সুদ গুনে দিতে হচ্ছে এই সব সংস্হা কে যাদের মালিকদের এক বড় অংশই তৃণমূল অথবা বিজেপি-র ঘনিষ্ঠ । শিল্প বাঁচাতে,দুর্গাপুর বাঁচাতে লড়ছে লাল ঝাণ্ডা । নিরব তৃণমূল অথবা বিজেপি । অ্যালয় স্টিল বাঁচাতে সংসদে বাম সাংসদরা সোচ্চার হলেও নিরব তৃণমূলের সাংসদ থেকে মুখ্যমন্ত্রী । অথচ এখন মেতেছেন ‘ছদ্ম-প্রতিদ্বন্ধীতায়’। আজ ইস্পাতনগরীর বিভিন্ন প্রান্তে অনেকগুলি জনাকীর্ণ সভায় এই অভিযোগ করে আভাস রায়চৌধুরী বলেন যে তৃণমূল ও বিজেপি হল  জনবিরোধী দুই-মুখো দানবের দুই মুখ । এদের পরাস্ত করে সংসদে বামপন্হীদের শক্তি বৃদ্ধি করতে হবে শিল্প বাঁচাতে,দুর্গাপুর বাঁচাতে । দুপুরে বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বামফ্রন্ট মনোনীত সি.পি.আই.(এম) এর প্রার্থী আভাস রায়চৌধুরীর সমর্থনে প্রতিবন্ধীদের সভায় তিনি জানান যে সি.পি.আই.(এম) এর নির্বাচনী ইস্তাহারে স্পষ্টভাবেই প্রতিবন্ধীদের জন্য প্রয়োজনীয় আইন-প্রনোয়ন ও তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য দায়বদ্ধ সংগ্রাম গড়ে তোলার কথা বলা হয়ছে । তিনি এই দায়িত্ব সম্পূর্ন  করার জন্য দায়বদ্ধ থাকবেন । কর্মসূচীগুলিতে উপস্হিত ছিলেন নির্মল ভট্টাচার্য,সুবীর সেনগুপ্ত,বিশ্বরূপ ব্যানার্জী,কাজল চ্যাটার্জী,স্বপন ব্যানার্জী,দিপক ঘোষ সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ । 























No comments:

Post a Comment