Saturday 12 November 2022

চোর তাড়াও,গ্রাম বাঁচাও,জীবন-জীবিকা বাঁচাও ডাক দিয়ে সন্ত্রাস উড়িয়ে ইস্পাতনগরী সংলগ্ন গ্রামাঞ্চলে পদযাত্রা ।

 


দুর্গাপুর,১২ই নভেম্বর : বামপন্হী গনসংগঠন গুলির পক্ষ থেকে  রুটি-রুজি-কারখানা বাঁচানো, গনতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও দূর্নীতি-মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে বার্তা দিয়ে  নভেম্বর মাস জুড়ে পদযাত্রা আজ ইস্পাতনগরী সংলগ্ন গ্রামাঞ্চলে হোল । শেষ বিকালে সন্ত্রাসবিদ্ধ হাজরা পাড়া থেকে পদযাত্রা শুরু হয়। পদযাত্রার শুরু থেকেই  রাস্তার পাশে মানুষের ভীড় ও আগ্রহ লক্ষনীয় ছিল। হাজরা পাড়া থেকে পদযাত্রা প্রথমে শোভাপুর গ্রাম ও পরে বিজরা গ্রামে যায় । পদযাত্রা যত এগোয় ,তত মানুষ বেশি সংখ্যক মানুষ যোগদান করেন । তৃণমূলের শাসন যে গরীব মানুষের স্বার্থে নয় , সেটা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে দুর্গাপুর দুর্গাপুর মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের  তৃণমূল  বোর্ডের ধারাবাহিক বঞ্চনার শিকার হয়েছে দুর্গাপুরের গরীব মানুষ বিশেষতঃ বস্তি সংলগ্ন অঞ্চলে উন্নয়ন শিকে উঠেছে ছোটখাটো কিছু রাস্তাঘাট নীল-সাদা প্রলেপ লাগানো ছাড়া পিছিয়ে পড়া এলাকার উন্নয়ন এর জন্য কোন সদিচ্ছা বিদায়ী তৃণমূল বোর্ডের ছিল না বলে অভিযোগ উঠেছে বামফ্রন্টের সময় গরীব মানুষের জন্য যে ধারাবাহিক উন্নয়নের কাজ চলছিল , তার সাক্ষী আছেন ইস্পাতনগরী সংলগ্ন ২নং ওয়ার্ডের মানুষ শোভাপুরবিজড়া-মহুয়াবাগানহাজরা পাড়া অঞ্চল নিয়ে গঠিত কৃষি প্রধান নং ওয়ার্ড উন্নয়নের স্বাদ পায় বামফ্রন্টের সময় বামফ্রন্ট পরিচালিত তৎকালীন পৌর বোর্ডের সময়ে এই অঞ্চলের রাস্তাঘাট এর অভূতপূর্ব  উন্নয়ন হয় পিচ ঢালাই এর রাস্তা এখনও সমান ভাবে মজবুত নল-বাহিত পানীয় জল পাকা ড্রেনের  ব্যবস্হা করা হয় গরীব মানুষের আবাসন প্রকল্প প্রায় দুই শত পাকা বাড়ী তৈরি হয় বিজড়া উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মনোরম তাক লাগানো বিল্ডিং তৈরি হয় যা আজও ওয়ার্ডের মানুষের গর্ব সেচের জন্য তৈরি হয় বক্সীর বাঁধ

তৃণমূলের আমলে নতুন রাস্তা-ঘাট তৈরি বন্ধ ইস্পাতনগরীর যাতায়াতের পিচ রাস্তা ভেঙ্গে চৌচির সংস্কারের অভাবে বক্সীর বাঁধ বেহাল বিধবা-বার্ধক্য ভাতা অনিশ্চিত বাম সমর্থক হওয়ার জন্য দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা আই-কিউ সিটি প্রকল্পের কাজ থেকে অনেকেই কাজ হারিয়েছেন অঞ্চলের মানুষের ক্ষোভ চূড়ান্ত জায়গায় পৌঁছেছে  আই-কিউ সিটি প্রকল্প নিয়ে তৃণমূলের চূড়ান্ত দলবাজীর বিরুদ্ধে

বিগত ২০০৭ সালে বামফ্রন্ট সরকারের সময়ে তৎকালিন দুর্গাপুর- বিধানসভার বিধায়ক পঃ বঙ্গের বিদ্যুৎমন্ত্রী প্রয়াত মৃণাল ব্যানার্জীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় , ১০০ একর জায়গার উপরে তিনশো বেডের হাসপাতাল সহ মেডিক্যাল কলেজ , নার্সিং ট্রেনিং কলেজ বিশাল আবাসন প্রকল্প নিয়ে , আই.কিউ সিটি প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ভিত্তিপ্রস্তর স্হাপন করেন তৎকালীন শিল্পমন্ত্রী নিরুপম সেন শুরুতে প্রকল্পের নাম ছিলনলেজ সিটি রাজ্য সরকার অধিগৃহীত দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার উপর ন্যস্ত এই জমিতে ১৯৬৭ সালে যুক্তফ্রন্টের সময় চাষ করার অধিকার পান স্হানীয় গ্রাম বস্তিবাসি এই প্রকল্পের মধ্য দিয়ে তাদের অবস্হার উন্নতি হবে এই বিবেচনা করে স্বেচ্ছায় বিনা ক্ষতিপূরনে তারা জমির অধিকার ত্যাগ করেন প্রকল্পের নির্মান কাজ শুরু হলে গ্রাম উন্নয়ন কমিটির মাধ্যমে জমিদাতা পরিবারের সদস্যদের নির্ম্মান কাজে শ্রমিক হিসাবে নিযুক্ত করা হয় পরবর্তীকালে গ্রাম বস্তির অন্যান্য পরিবারের সদস্যরা কাজ পান প্রকল্পের কর্তৃপক্ষ গ্রাম উন্নয়ন কমিটির পারস্পরিক সহযোগিতায় প্রকল্পের কাজ দ্রুত গতিতে এগোতে থাকে কিন্তু ২০১১ সালে রাজনৈতিক পট-পরিবর্তন ঘটে মমতা ব্যানার্জী নেতৃত্বাধীন তৃণমূল সরকার গঠিত হলে সমগ্র দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের সাথে সাথে আই.কিউ সিটি প্রকল্পে কর্মরত শ্রমিকদের জীবনে কালো দিন নেমে আসে তৃণমূলীরা কর্মরত জমিদাতা শ্রমিকদের অধিকাংশ কে কাজ থেকে উচ্ছেদ করে এবং বহিরাগতদের নিয়োগ করে নিজেরা ফুলে-ফেঁপে ওঠে শুধু তাই নয় , হটাৎ একদিন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী উপস্হিত হয়ে পুরনো ভিত্তিপ্রস্তর সরিয়ে ২০০৭ সাল থেকে চালু হওয়া আই.কিউ সিটি প্রকল্পের পুনরায়শিলান্যাসকরেন এই সুযোগে আই.কিউ সিটি প্রকল্পের কর্তৃপক্ষ দাঁত-নখ বার করে কর্মরত শ্রমিকদের বেতন অন্যান্য সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত করছে প্রতিবাদ করলে জুটছে কর্তৃপক্ষের গলাধাক্কা তৃণমূলী দুষ্কৃতিদের রক্তচক্ষু অন্যদিকে,বিজরা ও শোভাপুর গ্রামের জনসংখ্যার বড় অংশই কৃষি উপরে নির্ভরশীল । বর্ষায় বৃষ্টিপাত কম হওয়া বেশির ভাগ জমিতে চাষ হয় নি । সংস্কারের অভাবে বক্সির বাঁধ অকেজ । সংস্কারের উদ্যোগ নেই । সংখ্যালঘু অধ্যুষিত বিজরায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য নির্দিষ্ট ভাতা –ঋন মিলছে না । পদযাত্রা থেকে ওঠা আওয়াজ– চোর তাড়াও,গ্রাম বাঁচাও , আরো জোরে কেন প্রতিধ্বনিত হচ্ছে বুঝে নিতে অসুবিধা হচ্ছে না । গ্রামাঞ্চল জেগে উঠছে । তৃণমূল – বিজেপি কোনঠাসা হচ্ছে । পদযাত্রার শেষে জনসভায় বক্তব্য রাখেন সীমান্ত চ্যাটার্জি । পদযাত্রায় সামিল ছিলেন মজহর মিদ্যা,চিন্ময় গোপ,স্বপন সরকার,আল্পনা চৌধুরী,শেলি মন্ডল,বিজয় সাহা,নিমাই ঘোষ,বিশ্বরূপ ব্যানার্জি,সুবীর সেনগুপ্ত প্রমুখ।















































No comments:

Post a Comment