দুর্গাপুর,৮ই নভেঃ : বাম গনসংগঠনদের যৌথ আহ্বানে আজ পদযাত্রায় অতিক্রম করল দুর্গাপুর
পৌর নিগমের ১ নং ওয়ার্ডের বিস্তীর্ন অঞ্চল।কমলাইতলার পার্টি অফিসের সামনে থেকে পদযাত্রা
শুরু হয়ে রঘুনাথপুর,মধুপল্লী পরিক্রমা করে ধোবিঘাটে শেষ হয়। দুর্গাপুর ইস্পাতনগরী সংলগ্ন
এই বিস্তীর্ন অঞ্চলে মানুষের রুটি-রুজি আজ বিপন্ন । তিন মাসের ধরে বন্ধ কমলপুরে ঐতিহ্যবাহী পাথর খাদান। ফলে শয়ে শয়ে
শ্রমিক কাজ হারিয়ে পথে বসেছেন। গন আন্দোলনের নেতা অজিত মন্ডল অভিযোগ করেছেন তৃণমুলের
নেতারা বেআইনী পাথর খাদান মালিকদের কাছে কাটমানি খেয়ে সরকারী কে রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার
ফলে কমলপুরে ঐতিহ্যবাহী পাথর খাদান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পথে। আদিবাসী বাসিন্দারা অভিযোগের
আঙ্গুল তুলেছেন যে শাসক দল –পুলিশ-প্রশাসনের মদতে গড়ে ওঠা বেআইনী পাথর খাদান বনাঞ্চল
ধ্বংস করেছে । অন্যদিকে রিয়াল এস্টেটের জমির হাঙ্গরদের কবলে পরে এলাকার কৃষি জমি বেহাত
হচ্ছে । দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার পড়ে থাকা জমি বেআইনীভাবে বিক্রি করছে জমি-মাফিয়ারা।
দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার কর্তৃপক্ষ নিশ্চুপ ।,এলাকায় চালু দুই কারখানা শার্প ফেরোএল
( পূর্বতন মনেট কারখানা ) এবং সুমঙ্গল ইস্পাত প্রাইভেট লিমিটেড বামফ্রন্টের সময় গড়ে ওঠে।২০১১ ও পরে ২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে
১নং ওয়ার্ডে শাসক তৃণমূল দলের ধারাবাহিক সন্ত্রাসের
শিকার সিপিআইএম এর কর্মি ও নেতৃবৃন্দ । কারখানা দুটি থেকে সিআইটিইউ করার অপরাধে উচ্ছেদ
হয়েছেন বহু শ্রমিক । শ্রমিক হিসাবে কাজে নিযুক্তির জন্য শাসক দলের নেতাকে দিতে হয় কাটমানি।
ঠিকাদাররা প্রতিমাসে শ্রমিকদের বেতন থেকে টাকা কেটে শাসকদলের নেতার এজেন্টের কাছে সেই
টাকা পৌছে দেয় বলে অভিযোগ উঠেছে। চাকুরী থেকে অবসরের সীমা ৬০ থেকে কমিয়ে ৫৮ বছর করে
দেওয়ার ফলে বহু পুরনো ও দক্ষ শ্রমিক কাজ হারিয়েছেন । সন্ত্রাসের দিনের অবসান করে মানুষের
অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ডাক দিয়ে পদযাত্রায় পা মেলালেন কাজ হারা শ্রমিক অলোক দে,ভূষন
সরকারের মত শ্রমিক সহ ছাত্র-যুব-মহিলা-কৃষক-ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সহ এলাকার বাসিন্দারা
। তাদের সাথে পা মিলিয়ে নেতৃত্ব দিলেন অজিত মন্ডল,দিপক ঘোষ,বিশ্বরূপ ব্যানার্জি,সীমান্ত
চ্যাটার্জি,জীবন আইচ,মিতা ভট্টাচার্য সহ গনআন্দোলনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ।
No comments:
Post a Comment