Tuesday 22 November 2022

দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানায় দুর্ঘটনায় আহত আরো এক শ্রমিকের মৃত্যু : নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানালো সিআইটিইউ।

 


দুর্গাপুর,২২শে নভেঃ : গত রবিবার দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানায় ভয়াবহ দুর্ঘটনায় আহত আরো এক শ্রমিকের আজ ভোরে মৃত্যু হোল । মৃত ঠিকা শ্রমিকের নাম গোপী রাম । চিকিৎসাধীনআহত আরো দুই ঠিকা শ্রমিকের অবস্হা আশংকাজনক । দুপুরে মৃত ঠিকা শ্রমিক গোপী রামের মরদেহ দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার মেন গেট সংলগ্ন তামলা কলোনিতে তাঁর বাসভবনে নিয়ে আসা হয় । ইউনাইটেড কন্ট্রাক্টার্স ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন (সিআইটিইউ) এর পক্ষ থেকে এক প্রতিনিধি দল মৃত ঠিকা শ্রমিক গোপী রামের মরদেহে মাল্যদান করে শ্রদ্ধা জানান এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের সাথে দেখা করে সমবেদনা জানান ও পাশে থাকার কথা জানান । প্রতিনিধি দলে ছিলেন কালি সান্যাল,নিমাই ঘোষ,প্রতাপ সিং ও কামরে আলম । বৃদ্ধ বাবা,মা,স্ত্রী,তিন অবিবাহিত ও কোলের ছেলে নিয়ে পরিবারের একমাত্র রোজগেরে সদস্যের মৃ্ত্যুর পরে গোপী রামের পরিবার এখন অথৈ জলে পরেছে। ইউনাইটেড কন্ট্রাক্টার্স ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন (সিআইটিইউ) এর পক্ষ থেকে কালি সান্যাল জানিয়েছেন যে গতকাল ইউনিয়ন এর পক্ষ থেকে এই দুর্ঘটনায় মৃত অপর শ্রমিক পল্টু বাউরির বাড়িতেও ইউনিয়ন এর পক্ষ থেকে এক প্রতিনিধি দল মৃত ঠিকা শ্রমিক পল্টু বাউরির মরদেহে মাল্যদান করে শ্রদ্ধা জানান এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের সাথে দেখা করে সমবেদনা জানান ও পাশে থাকার কথা জানান । ইউনিয়ন এর পক্ষ থেকে এই দুর্ঘটনার প্রকৃত তদন্ত,মৃত ও আহতদের পরিবারের জন্য উপযুক্ত আর্থিক ক্ষতিপুরন এবং মৃতদের প্রত্যেক পরিবারের একজন পোষ্যের চাকরির দাবি জানানো হয়েছে বলে কালি সান্যাল জানিয়েছেন।

অন্যদিকে, সিআইটিইউ এর সর্বভারতীয় সম্পাদক তপন সেন সেইলের চেয়ারম্যান কে চিঠি দিয়ে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনার পিছনে প্রকৃত কারন খুঁজে বের করার জন্য ‘নিরপেক্ষ’ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন । তিনি স্মরণ করিয়ে দেন যে গত মার্চ মাসেও দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানায় অনুরূপ ভয়াবহ দুর্ঘটনায় তিন ঠিকা শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছিল । কিন্তু তারপরেও দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানায় গত ২০শে নভেঃ এর ভয়াবহ দুর্ঘটনা আবারও কাজের জায়গায় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে গুরুতর ত্রুটির দিকে নির্দেশ করছে। এই ধরনের কাজের দায়িত্ব কি ভাবে কেবল ঠিকা শ্রমিকদের কাঁধে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে,তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সিআইটিইউ এর সর্বভারতীয় সম্পাদক তপন সেন।





No comments:

Post a Comment