দুর্গাপুর,১২ই ডিসেঃ
: আজ ইস্পাতনগরীর ডিভিসি অডিটোরিয়ামে প্রয়াত পার্টি নেত্রী ও দুর্গাপুরের প্রাক্তন
বিধায়িকা অর্চনা ভট্টাচার্যের স্মরণ সভায় তাঁর অসামান্য সংগ্রামী জীবন ও আদর্শ কমিউনিস্ট
হিসেবে গড়ে তোলার জন্য জীবনের শেষ পর্যায় পর্যন্ত সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার অদম্য চেষ্টা
কে শ্রদ্ধার সাথে স্মরন করেন নেতৃবৃন্দ । গত ১৪ই নভেঃ তাঁর জীবনাবসান হয় । পরিপূর্ণ
অডিটোরিয়ামে শ্রদ্ধা জানাতে উপস্হিত ছিলেন পার্টি ও গন সংগঠনের জেলা ও এরিয়া নেতৃত্ব
সহ বহু সাধারন মানুষ । লক্ষনীয় সংখ্যায় উপস্হিত
হয়েছিলেন মহিলারা । উপস্হিত ছিলেন তাঁর তিন মেয়ে,জামাই ও নাতি । উপস্হিত ছিলেন সিপিআই, জাতীয় কংগ্রেস,ফঃ ব্লকের নেতৃবৃন্দ
। শোক প্রস্তাব উথ্থাপন করেন কাজল চ্যাটার্জী । স্মৃতিচারনা করতে গিয়ে প্রবীন পার্টি
নেতা রথিন রায় বলেন দুর্গাপুরের শ্রমিক আন্দোলনের ইতিহাস মহিলাদের অতুলনীয় সংগ্রমী
ভূমিকার উল্ল্যেখ ছাড়া অসম্পূর্ন থাকবে এবং এই সংগ্রামের অন্যতম কাণ্ডারী ছিলেন অর্চনা ভট্টাচার্য । ৭০’এর
দশকের গোড়ায় পুলিশ-সিআরপিএফ-শাসকদলের যৌথ আক্রমনের সামনে দাঁড়িয়ে মহিলাদের বীরত্বপূর্ন লড়াই এর সামনের সারিতে থেকে ছিলেন ।
মহিলাদের সংগঠিত করার জন্য পায়ে হেটে ইস্পাতনগরী সহ দুর্গাপুর ঘুরে বেড়িয়েছেন । দুর্গাপুর
মহিলা সংসদ ও পরে পশ্চিমবঙ্গ গনতান্ত্রিক মহিলা সমিতির অগ্রনী নেতৃত্ব হিসাবে অবিভক্ত
বর্ধমান জেলার সভানেত্রী ও রাজ্য কমিটির সদস্যা হয়েছিলেন ।পার্টির লোক্যাল কমিটির সম্পাদিকা
ও জোনাল কমিটির সদস্যা হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন । গরীব মানুষ বিশেষতঃ মহিলাদের ভরসার জায়গা ছিলেন তিনি
। ইস্পাতনগরীতে গার্হস্হ হিংসার বিরুদ্ধে তাঁর ভূমিকার সুফল আজও ভোগ করছেন মহিলারা
। আত্মপরিচয়-বিমূখ এই অসাধারন নেত্রীর গুনাবলী আমাদের রফ্ত করতে হবে বলে আহ্বান জানান
পার্টির পশ্চিম বর্ধমান জেলা সম্পাদক গৌরাঙ্গ চ্যাটার্জী । এছাড়াও বক্তব্য রেখেছেন
আল্পনা চৌধুরী,নির্মল ভট্টাচার্য ও সন্তোষ দেবরায় ।
No comments:
Post a Comment