দুর্গাপুর,২০ শে ডিসেঃ – “ কাজের দাবিতে মোটরবাইকে ঝাণ্ডা বেঁধে দাবি জানাতে চাওয়া কি অপরাধ ? “ – দুর্গাপুর (পূর্ব)-এর সি.পি.আই.এম বিধায়ক সন্তোষ দেবরায়ের প্রশ্নে অপ্রস্তুত হয়ে পড়েন দুর্গাপুর থানার এস.ডি.পি.ও । আজ সকালে ইস্পাতনগরীর অরবিন্দ এভিন্যু এর দুর্গাপুর থানার চত্বর গ্রেফ্তার হওয়া এস.এফ.আই-ডি.ওয়াই.এফ.আই নেতৃবৃন্দের শ্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে । কি ছিল তাদের অপরাধ ? এস.এফ.আই-ডি.ওয়াই.এফ.আই এর পশ্চিম বর্ধমান জেলা কমিটির ডাকে জেলার বন্ধ কল কারখানা খোলা ও নতুন শিল্প স্থাপনের দাবিতে এবং কলেজে কলেজে ভর্তি প্রক্রিয়ায় ব্যাপক দূর্নীতির প্রতিবাদে বার্ণপুর স্ট্যান্ডার্ড কারখানা থেকে নবান্ন পর্যন্ত বাইক মিছিলের কর্মসূচী ঘোষণা করা হয়েছিলো। গত একমাস ধরে জেলাজুড়ে এই কর্মসূচির প্রচার সংগঠিত হয়। গতকাল থেকেই আজকের এই মিছিলকে আটকানোর জন্য পুলিশ আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে। আজ ভোরবেলা থেকেই বার্ণপুর ও জিটি রোডের বিভিন্ন জায়গায় কমব্যাট ফোর্স নামানো হয় । ছাত্র-যুবদের রাস্তায় আটকে দেওয়া হয়। শুরু হয় পুলিশের সাথে ব্যাপক ধস্তাধস্তি।
আজ সকালে এস.এফ.আই এর রাজ্য
সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য র নেতৃত্বে
দুর্গাপুর থেকে পাঁচ শতাধিক বাইক
জিটি রোড ধরে বার্ণপুরের উদ্যেশ্যে যাত্রা
শুরু করে । পথে অণ্ডালের কাছে দুবচুরিয়াতে পুলিশ পথ আটকালে ধস্তাধস্তি শুরু হয় । এস.এফ.আই এর রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য , প্রাক্তন যুব নেতা পঙ্কজ রায় সরকার সহ শতাধিক ছাত্র-যুব নেতৃত্ব
কে গ্রেফ্তার ও বাইক বাজেয়াপ্ত করে দুর্গাপুর থানায় নিয়ে আসে পুলিশ । খবর পেয়ে ছুটে
আসেন দুর্গাপুর (পূর্ব)-এর সি.পি.আই.এম বিধায়ক
সন্তোষ দেবরায়,নির্মল ভট্টাচার্য,সুবীর সেনগুপ্ত সহ পার্টি ও গন আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ
। তাঁরা পুলিশ কে হুঁশিয়ারী দেন যদি অবিলম্বে যদি ছাত্র-যুব নেতাদের নিঃশর্তে মুক্তি
না দেওয়া হয় তবে ইস্পাত শ্রমিক সহ দুর্গাপুরের সাধারন মানুষ কে নিয়ে দুর্গাপুর থানা
অবরুদ্ধ করা হবে । চাপে পরে পুলিশ ছাত্র-যুব নেতাদের সবাইকে নিঃশর্তে মুক্তি দিতে বাধ্য
হয় ।
No comments:
Post a Comment